চুরির অপবাদে পটুয়াখালীতে ছয় ঘণ্টা শিকলবন্দী শিশু! Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




চুরির অপবাদে পটুয়াখালীতে ছয় ঘণ্টা শিকলবন্দী শিশু!

চুরির অপবাদে পটুয়াখালীতে ছয় ঘণ্টা শিকলবন্দী শিশু!




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে চুরির অপবাদ দিয়ে ১০ বছরের শিশু রিপন মৃধাকে ছয় ঘণ্টা শিকলবন্দী রাখার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরমোন্তাজ ইউপির স্লুইসবাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে ওই শিশু শিকলমুক্ত হয়। ভুক্তভোগী রিপন মৃধা চরমোন্তাজ স্লুইসবাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রুবেল মৃধার ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চায়ের দোকানে চুরি সন্দেহে শিশু রিপনকে আটকে রাখেন দোকান মালিক বেল্লাল প্যাদা। পরে দোকানের পেছনে রিপনের পায়ে শিকলবন্দী করে রাখেন বেল্লাল। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। বিষয়টি টের পেয়ে শিশুটিকে শিকলমুক্ত করে দেন বেল্লাল।

শিশু রিপন জানান, ৪০০ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে চা দোকানদার বেল্লাল তাকে আটকে রাখেন। পরে চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি দিয়ে পায়ে শিকল পরিয়ে দেন। রিপনের মা জাহানারা বলেন, ছেলেকে মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার খবর শুনে দোকানে যাই। বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব দিয়ে রিপনকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন স্থানীয় মেম্বার। এতে রাজি হননি বেল্লাল। পরে আবারো ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে দোকানে গেলে গালিগালাজ করেন বেল্লাল।

চরমোন্তাজ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হালেম খান বলেন, রিপনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার খবর শুনেছি। তবে বেল্লাল বিষয়টি অস্বীকার করছে। অভিযুক্ত চায়ের দোকানদার বেল্লাল প্যাদা বলেন, চাকু দিয়ে দোকানের পেছনের টিন কেটে হাজার খানিক টাকা নিয়েছে রিপন। এছাড়া দোকানের কিছু বিস্কুট খেয়েছে সে।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাবে বলেই শিকলবন্দী করে রাখছিলাম। তবে চা জিলাপি খেতে দিয়েছি। পরে ছেড়ে দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছি। চরমোন্তাজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD